তিন হাজার হিন্দু নারী অগ্নিকুন্ডে প্রবেশ করলো
ভারতীয়
উপমহাদেশে ইসলাম প্রসারের ইতিহাস (পর্ব-৬)
রাজা হরি সিং ক্ষমতায় থাকাকালে মুসলমানদের বিশ্বাসঘাতকতা কাকে বলে তা
বুঝলেন । পাকিস্থান স্ৃষ্টির দু'মাস পরে ১৯৪৭ -এর ২২শে অক্টোবর পাকিস্তানের মুসলমান গোষ্টী কর্তৃক কাশ্মীর অক্রান্ত হল ।
তখন কাশ্মীরের নিজস্ব সৈন্যবাহিনী ছিল । সেই সৈন্য ছিল মুজাফরাবাদে । নারায়ন সিং
ছিলেন সেই বাহিনীর প্রধান । অধিকাংশ সৈনিকেরা ছিল মুসলমান । বেতন দিতেন কাশ্মীরের
রাজা । যখন আক্রমন হলো তখন বাহিনীর মুসলমান সৈনিকেরা অস্ত্র শস্ত্র সঙ্গে নিয়ে
পালিয়ে গিয়ে আক্রমনকারী পাকিস্তানী মুসলমানদের সাথে মিলিয়ে গেলো । শুধু তাই নয়, তারা সমস্ত গোপন জায়গা দেখিয়ে দিল এবং যাবার সময় তারা সেনাবাহিনীর প্রধান
এবং উপ প্রধানকেও হত্যা করে গেল । ৪ঠা নভেম্বর মুসলমান সৈনিকেরা লে. কর্নেল মজিদ খানের নের্তত্বে গিলিটে স্বতন্ত্র রাজ্যের ঘোষণা করলো ।
সম্পত্তি লুটপাট করা এবং হিন্দু মেয়েদের জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো ।
ভি.পি.মেনন
লিখেছেন, "নাদির শাহ'র দিল্লী ধ্বংসের বর্ণনা আমরা পড়েছি । এরা তারই পুনরাব্ৃত্তি এখানে করেছে
।"
৮ই
নভেম্বর হিন্দুস্থানের সৈন্যরা বারমুল্লা পুনরুদ্ধার করলো । ১৪ হাজার লোক বসতির
সেই জায়গা বড়জোর এক হাজার লোক বেচে ছিল । ১১ই নভেম্বর রাজৌরীতে মুসলমানদের
অমানুষিক অত্যাচারের নমুনা দেখা গেল । দশ হাজার হিন্দু হত্যা করা হল । তিন হাজার হিন্দু মহিলা তহশিল অফিসের
মধ্যে অগ্নিকুন্ড রচনা করে তার মধ্য প্রবেশ করলো । হিন্দুস্থানের সৈন্যরা যখন
রাজৌরীতে পৌছলো তখন তারা দেখলো শুধু মৃত দেহের স্তুপ । ২৫শে নভেম্বর মীরপুরে ১৫
হাজার হিন্দু হত্যা করা হল ।
আজও
চলছে...।
"যদি কোনো গবেষক উপরোক্ত তথ্যাবলীর মধ্যে একটিও ভূল বলে প্রমান করতে
পারেন, তাহলে আমরা তার কাছে চিরদিনের
জন্য কৃতজ্ঞ থাকব।"
শেয়ার করতে নিচের সোসাল আইকনগুলোতে ক্লিক করুন