হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার চেষ্টা করায় এক দিনে ২০ হাজার নও-মুসলিমকে হত্যা



ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রসারের ইতিহাস  (পর্ব-)
১১৯৬ সালে কুতবউদ্দিন গোয়ালিয়র আক্রমন করেন। এই ঘটনাটি বর্ণনা করতে গিয়ে হাসান নিজামী তার 'তাজ উল মসির' - এ লিখেছেন -
" ইসলামের সেনারা সম্পূর্ণভাবে বিজয়ী হল। মূর্তি পুজার সমস্ত কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠানকে (মন্দিরকে) ধ্বংস করা হল এবং সেখানে ইসলামের নিদর্শণ স্বরূপ মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মান করা হল।"

১১৯৭ সালের জানুয়ারী মাসে কুতুবউদ্দিন ও মোঃ ঘোরী গুজরাট আক্রমন করেন এবং পথে নাহারয়োলা দুর্গ আক্রমন করেন। মাউন্ট আবুর এক গিরিপথে রাজা করন সিং ও মুসলমানদের মধ্যে যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে করন সিং হেরে যান।
মিনহাজ লিখেছেন- "প্রায় পঞ্চাশ হাজার শব দেহের স্তুপ পাহাড়ের সমান উচু হয়ে গেল। বিশ হাজারেরও বেশি ক্রীতদাস কুড়িটি হাতি সহ এত লুটের মাল বিজয়ীদের হাতে এলো যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।"



১২০২ সালে কুতুব উদ্দিন কালিঞ্জর দুর্গ আক্রমন করেন।
এই প্রসঙ্গে মিনহাজ লিখেছেন -

" সমস্ত মন্দিরকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হল, ৫০ হাজার হিন্দুকে (নারী ও শিশু-সহ) ক্রীত দাস হিসেবে পাওয়া গেল এবং হিন্দুর রক্তে মাটি পীচের মত কালো হয়ে গেল।"







মুসলমানের হত্যাযজ্ঞে ভীত হয়ে প্রাণ রক্ষার্থে এবং জিজিয়া কর না দিতে পারার কারনে যারা মুসলমান হতে বাধ্য হয়েছিল, তাদের উপর দয়া করেই মুসলমান শাসকগণ মন্দির গুলোকে ঘষে মেজে ও প্লাস্টার করে মসজিদে রূপান্তরিত করেছিলেন। এই সব নও মুসলমানদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে তারা নিয়মিত নামাজ রোজা পালন করে খাটি মুসলমান হলে তাদেরকে উচ্চ রাজকর্মচারী পদে নিযুক্ত করা হবে। কিন্তু সাধারন সৈনিকের কাজ ছাড়া অন্য কোন বৃত্তি গ্রহনের সুযোগ না পাওয়ায় এবং তাদেরকে দিয়ে হিন্দু মন্দির ধ্বংস, হিন্দু হত্যা ও হিন্দু নির্যাতন করালে মুসলমানদের আচরণে বীতশ্রদ্ধ হতে তারা পূনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার উদ্যোগ নিলে গুজরাট হতে ফিরবার পথে সম্রাট আলাউদ্দিনের আদেশে এক দিনে ২০ হাজার নও-মুসলিমে হত্যা করে নারকীয় পৈশাচিকতার পরিচয় দেন।

১৩০৩ খৃষ্টাব্দে আলাউদ্দিন চিতোর আক্রমন করেন। চিতোর আক্রমনের প্রত্যাক্ষ কারন ও প্রধান উদ্দেশ্য ছিল রাজপুত রানা রতন সিংহের অন্যন্যা সুন্দরী রানী পদ্মিনীকে হস্তগত করা ।  রতন সিংহ বীরদর্পে আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত পরাজিত ও বন্ধি হলেন । রাজপুত বীর গোরাচাদ ও বাদল অসাধারণ বীরত্ব সহকারে যুদ্ধ করলেন ।  কিন্তু বিশাল সুলতানী বাহিনীকে পরাজিত করা অসম্ভব দেখে রাজমহলের নারীগন জহরব্রত অর্থাৎ অগ্নিকুন্ডে ঝাপ দিয়ে প্রাণ বিসর্জন দিলেন । এভাবে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে তারা মুসলমানদের হাতে বন্দী হয়ে অপমানিত হওয়া  থেকে পরিত্রান পেলেন।

কাজী মুগিস উদ্দিন বলেছেন সম্রাট আলাউদ্দিন কার্যসিদ্ধির মানে ইসলাম প্রতিষ্টার জন্য ন্যায় অন্যায় বা নীতি আদর্শের কোন ধার ধারতেন না ।

অর্থের প্রাচুর্য্য থাকলেই বিদ্রহের মনোবৃত্তি ও সামর্থ্য জন্মে- এই ছিল আলাউদ্দিনের ধারণা । এজন্য তিনি ধনবান হিন্দুদের নানাভাবে শোষণ করে তাদের অর্থবল নাশ করলেন ।
তিনি দোয়াব অঞ্চলের হিন্দুদের নিকট হতে উতপন্ন ফসলের অর্ধাংশ রাজস্ব হিসেবে আদায় শুরু করলেন এবং হিন্দু জনসাধারণের উপর এমন অসহনীয় করভার স্থাপন করলেন যাতে তারা এই করমুক্তির আশায় দলে দলে ইসলাম গ্রহন করে ।

এই কার্যকলাপে মুসলমান মাওলানাগণ খুব খুশি হয়েছিলেন । মিশরের জনৈক বিখ্যাত ইসলামী আইন বিশারদ আলাউদ্দিন খিলজীকে এক পত্রে লিখেছিলেন-
 "শুনলাম আপনি নাকি হিন্দুদের এমন অবস্থা করেছেন যে, তারা মুসলমানদের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাবৃত্তি করছে । এরূপ কাজ করে আপনি ইসলামের অশেষ উপকার করেছেন। একমাত্র এই কাজের জন্যই আপনার সকল পাপের মার্জনা হবে ।"


"যদি কোনো গবেষক উপরোক্ত তথ্যাবলীর মধ্যে একটিও ভূল বলে প্রমান করতে পারেন, তাহলে আমরা তার কাছে চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ থাকব।" 

যুক্ত হোন ফেইসবুকে আমাদের সাথে- https://www.facebook.com/mukh.mukhos/
শেয়ার করতে নিচের সোসাল আইকনগুলোতে ক্লিক করুন

1 comment

Anonymous said...

But fucking Hindus still support secularism. Pakistan created for Muslim and also Bangladesh created for Muslims. But only India created for all. Why? All sickular bastards should answer it. All Indian bastard media support sickularism. What a shame for the Hindus. I wonder about their love for Muslims but no Muslim have any love for Hindus. Only they want to Kill or convert Hindus, occupy their assets like land, buildings and women.

Powered by Blogger.