সমস্ত ইরান ছিল আর্য সভ্যতার লীলাভূমি
সমস্ত ইরান ছিল আর্য সভ্যতার লীলাভূমি |
ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রসারের ইতিহাস (পর্ব-২৬)
হজরত
মুহাম্মদের আচরণ এই সমস্ত ঘটনা থেকেই জেহাদে ইসলাম প্রসারের অঙ্গরূপে দেব মন্দির ও
দেব প্রাতিমা ধ্বংস অবশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি গজনীর সুলতান মাহাম্মুদ প্রভৃতি
ইসলামিষ্ট সুলতানগন দেব প্রতিমা ধ্বংসের সময় কোরানের সেই আয়াতটিই উচ্চারণ করতেন যা
কাবা গৃহের দেব প্রতিমা ধ্বংসের সময় সগর্জনে আউয়েছিলেন মুহাম্মদ নিজে। এম এস
পিকথলের অনুবাদে- "Truth hath come and falsehood
hath vanished away. Lo! Flasehood is over bound to vanish" (Koran-17/81)
একই
সঙ্গে আমাদের মনে রাখতে হবে ফিরজ শাহ তোঘলক সিকান্দার, লোদী, আওরঙ্গজেব প্রমুখ
ভারতীয় শাসনকর্তাগণ হযরত মুহাম্মদের সুন্না প্রয়োগ করেই কোট কোটি লেককে ইসলামে
দীক্ষিত হতে বাধ্য করেছিলেন। ইরানেও এমনটি হয়েছিলো। সমস্ত ইরান ছিল আর্য সভ্যতার
লীলাভূমি। মুসলমানরা ৬৫১ খৃষ্টাব্দেই ইরান দখল করে তাদের দেব মন্দির সমূহ ধ্বংস
করে দিয়েছিলেন এবং জোর করে ইসলামে দীক্ষিত হতে বাধ্য করেছিলেন। যারা ইসলাম গ্রহন
করেনি তারা পালিয়ে যায়। এ সময় শেষ আর্য সম্রাট আপ্তেস্বর (যর্জাদিগিদ) ইরান থেকে
পালিয়ে খোরাসানে চলে যান। যারা জাননি (অগ্নি উপাসক আর্যরা) খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীর
মধ্যভাগে খলিফা আল-মুতারক্কিলের সময় (৮৪৭-৮৬১ )
তারা চরমভাবে নির্যাতিত হন। অনেকে ইরানের পূর্ব দিকে পার্বত্য কোহিস্থানে
পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। অনেকে আরগ সাগর পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। (বর্তমানে
ভারতের অগ্নি উপাসকরা তাদেরই বংশধর)বাকিরা কুল কিনারা না পেয়ে ইসলামে দীক্ষিত হতে
বাধ্য হয়।
(সূত্র-
পারস্য সাহিত্য পরিক্রমা, পার্বতীচরণ চট্টোপাধায়,)
পৃথিবীর
অন্যান্য দেশের প্রাথমিক ইসলামের ইতিহাসও প্রায় একই রকম। এখানে একটা কথা বলা
আবশ্যক। ইদানীং কিছু লেখক বলে থাকেন, হিন্দুরা ভারত থেকে বৌদ্ধদের তাড়িয়ে দিয়েছে।
এ ব্যপারে ভীমরাও রমজী আম্বেদকর বলেছেন, "ইসলামের জন্ম হয়েছে 'বুত' বা
'বুদ্ধের' শত্রু হিসেবে। শুধু ভারতেই নয়, প্ৃথিবীর যেখানে সলাম গেছে সেখানেই তারা
বৌদ্ধদেরে ধ্বংস করেছে।
তার ভাষায়-
পরের পোষ্টের জন্য চোখ রাখুন এই সাইটে এবং পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন। শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন
5 comments
Ki vaba search korla apnader ai page ta pawa jaba? Crome na YouTube
হিন্দু ভাই ও বোনেরা আমার, অল্লো উপনিষদ সপ্তম পরিচ্ছদে শেষ অবতার রাসূল মুহাম্মদ সাঃ এর নাম এবং তার আগমনী বার্তা স্পষ্ট ভবিষ্যৎ বানী আকারে দেয়া আছে। অথচ কেন তোমরা চোখ বন্ধ করে বসে আছ। আর নিজেরা কল্প কাহীনীর ফাঁদে পড়ে আছ এবং সত্যকে অস্বিকার করছ??!!
অল্লোপনিষদের সপ্তম পরিচ্ছেদে কল্কি অবতারের কথা বলা হয়েছে, বলা হয়েছে শেষ অবতার রাসূল মোহাম্মদ সাঃ এর আগমনী বার্তা- "হোতার মিন্দ্রো হোতার মিন্দ্রো মহাসুরিন্দ্রাঃ । অল্লো জ্যেষ্ঠং শ্রেষ্ঠং পরমং পূর্ণং ব্যক্ষণং অল্লাম। অল্লো রসূল মহামদ রকং বরস্য অল্লো অল্লাম। আদল্লাং বুকমেকং অল্লাবুকংল্লান লিখার্তকম।"সূত্রঃ অল্লোপনিষদের সপ্তম পরিচ্ছেদ অর্থঃ "দেবাতাদের রাজা আল্লাহ আদি ও সকলের বড় ইন্দ্রের শুরু। আল্লাহ পূর্ণ ব্রক্ষ্মা; মোহাম্মদ আল্লাহর রুসূল পরম বরনীয়, আল্লাই আল্লাহ। তাঁর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আর কেহ নেই। আল্লাহ অক্ষয়, অব্যয়, স্বয়ম্ভু।" কুন্তাপ সুত্রে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ "ইদং জন্য উপশ্রুত নরাশংস স্তবিষ্যতে ষষ্টি সহস্রা নবতিং চকৌরম অরুষমেষু দদ্মহে" অর্থঃ "হে লোক সকল! মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর, 'প্রশংসিত জন' লোকদের মধ্য থেকে উত্থিত হবেন। আমরা পলাতককে ৬০,০৯০ জনের মধ্যে পেলাম।" এখানে বলা হচ্ছে নরাশংস অর্থাত্ প্রশংসিত ব্যক্তির কথা। যিনি ষাট হাজার মানুষের মধ্যে অন্যতম হবেন। যিনি দশ সহস্র মানুষ নিয়ে রাজ্য বিজয় করবেন। বেদ যে নরাশংসের কথা উল্লেখ করেছে তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন মানবতার নবী মুহাম্মদ (স)। ঈসায়ী ৬৩০ মুহাম্মদ (স) যখন মক্কা বিজয় করলেন তখন তার সৈন্য সংখ্যা ছিল দশ হাজার। আর তিনি যখন মক্কা বিজয় করেন তখন মক্কার লোকসংখ্যা ছিল ষাট হাজার জন। আর তিনি পালাতকও ছিলেন। এখানে হিজরত শব্দের পরিবর্তে পলাতক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। মানবতার নবী আরবের পৌত্তলিকদের অত্যাচারে জন্মভূমি মক্কা ত্যাগ করে মদীনায় হিজরত করেছিলেন।
হে হিন্দুস্তানের ভাই বোনেরা সত্যকে ত্যাগ করোনা তোমরা। আর কত ঘুমিয়ে থাকবে ?!! কতদিন তমাদের মূর্খ পন্ডিত আর শয়তানের পূজোকদের অন্ধ অনুসরন করবে??!! বরং বিবেকের চোখ খোলো এবং স্বীকার করে বলো- “ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” মহান স্রষ্টা এক এবং মুহাম্মদ সাঃ তার রাসূল ।
ক্ষমা করবেন। আল্লাপোনিষদ হিন্দুদের কোনো ধর্মগ্রন্থ নয়।
আল্লাপোনিষদ রচনা করিয়ে ছিলেন জাহাঙ্গীর। এটা কোনো হিন্দুধর্মীীী গ্রন্থ নয়।
আল্লাপোনিষদ মুসলিমদের বেদ।যেখানে সব আবালগুলো ভুল ভাল বকে আর লিখে। সেটা সবাই পরে সত্যি মনে করে। তোর আল্লাপোনিষদ তোর পা**য় ভরে রাখ।
Post a Comment