৭০০ হিন্দু শ্রমিক হত্যা ও অসংখ্য হিন্দু নারী ধর্ষণ
খুলনা হিন্দু শুন্য হলো কিভাবে ?
বাংলাদেশে
সবচেয়ে বেশি হিন্দু অধ্যুসিত এলাকা ছিল খুলনা। কিন্তু এই খুলনা ই এখন সবচেয়ে বেশি
হিন্দুশুণ্য। কিন্তু তা হলো কিভাবে ?
১৯৬৪
সালে আইয়ুখানের আমলে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর বর্বর নির্যাতন চালনো হয়েছিলো, এবং
ব্যপক হারে হিন্দু নিধন চালানো হয়েছিলো।
খুলনায়
খানে সবুর নামে একটি সড়ক আছে, এই সড়কটি খুবই বিখ্যাত। এটি নির্মান করেছিলো রাজাকার
আব্দুর সবুর খান। তার বাড়ি ছিলো খুলনায়। আব্দুর সবুর খান আইয়ুব খানের যোগাযোগ
মন্ত্রী ছিলেন।
১৯৬০
সালে আব্দুর সবুর খান রূপচাদ নামক একজন হিন্দুর জামি দখল করে তার উপরে ৫ তলা বাড়ি
করেছিলেন। কিন্তু রুপচাদ কোর্টে মামলা করে জিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই পরাজয় আব্দুর
সবুর খান মেনে নিতে পারেননি। তিনি জেদ পুশে রাখেন।
১৯৬৩
সালের ২৭ ডিসেম্বর কাষ্মীরের হজরত বাল মসজিদে রাখা মোহাম্মদের বাল বা চুল চুরি হয়ে
গেছ বলে মুসলমানেরা গুজব ছড়ায়। আইয়ুব খান বিবৃতি দেয় এর ফলাফল হিসাবে হিন্দুদের
উপর কি হবে আমি জানিনা, আমি কোন দায় নিতে পারবোনা। এর পর ২ জানুয়ারীতে চুলটি
উদ্ধার হয়।
কিন্তু
এর পর এই ইসু কে কেন্ত্র করে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হত্যা যজ্ঞ চালানো হয়। ৩
জানুয়ারী থেকে ৭ জানুয়ারী পর্যন্ত খুলনার হিন্দুদেরকে দেশ ত্যাগ করে চলে যেতে হলা
হয় এবং লিফলেট বিতরণ করা হয়। যেখানে হিন্দু পাও হত্যা করো বলে প্রচার করা হয়।
আব্দুর সবুর খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের উপর আক্রমন
চালানো হয়। জামাতী ইসলামী রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হিন্দু হোস্টেলের উপর পুরো
রাত ডিল ছোড়ে।
১৪
জানুয়ারী চট্টগ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জগামী ট্রেন ঢাকার টঙ্গি এবং তেজগাও থামার পরে
ট্রেন ঘিরে ফেলে মুসলমানরা এবং হিন্দুদের ট্রেন থেকে নামতে বলা হয়, যারা নামতে
চায়নী তাদেরকে লাগাতার খুন করা হয়েছিলো। ঢাকায় প্রতিদিন ৫-৬ হাজার করে হিন্দু
ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে আশ্রয় নেওয়া শুরু করে এবং অনেক হিন্দু দেশ ত্যগ করে
ভারতে যাওয়া শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং জগন্নাথ কলেজে ধপায় ধপায় ১০ থেকে
২০ হাজার হিন্দু আশ্রয় গ্রহণ করে।
আদমজী
জুট মিলের ম্যনেজার চড়িয়ে দেন উনার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে কলকাতায়। আদমজী জুট
মিলের ২০ হাজার মুসলিম শ্রমিকরা গিয়ে আক্রমন চালায় পার্শবর্তী হিন্দু মালিকানাদিন
কটন মিলে এবং সেখানে ৭০০ হিন্দুকে হত্যা করা হয়, অনেক মেয়েদেরকে ধর্ষণ করা হয়,
অনেক মেয়েদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকার
মোহাম্মদপুরেও চালানো হয় আক্রমন, বর্তমান যেটা মিরপুর জাপরাবাধ সেই যাপরাবাদ এলাকা
ছিল হিন্দু অধ্যুসিত। সেখানে প্রতিটা হিন্দুর বাড়ি আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
চালনা বন্দর এবং মংলা বন্দরের আশে পাশে যত হিন্দু গ্রাম ছিলো তার প্রতিটা বাড়ি
জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
১৯৬৪
সালে পাকিস্থানের সরকার আইন প্রণয়ন করে হিন্দুরা কোন জামি বিক্রি করতে পারবেনা। সেই আইনের ফলে হিন্দুরা তাদের
জমি বিক্রি করতে না পেরে জীবন বাচাতে সব ছেড়ে চলে যায় ভারতে। এইভাবে বাংলাদেশের
একমাত্র হিন্দু সংখ্যাঘরিষ্ট খুলনা জেলা হিন্দু সংখালগু জেলায় পরিণত হয়।
এইভাবে
মিত্যাচারের মাধ্যমেই বর্বরতার মাধ্যমেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৬৪
সালে সেই বর্বরতার খবর পত্রিকায় ছাপানো নিষিদ্ধ করে পাকিস্থান সরকার। কিন্তু
তারপরও পাকিস্থান অবজারবার ও ইত্তেফাক কিছু খবর
ছাপালে শাস্তি স্বরূপ তাদের ৫ দিনের জন্য ব্যন করা হয়।
ইহাই
ইসলাম- ইহাই শান্তির ধর্ম।
আব্দুর
সবুর খান আইন করেছিলো খুলানার আশে পাশে হিন্দুরা পায়ে জুতা পরে চলতে পারবে না,
মাথায় ছাতা ধরতে পারবেনা। কারন কি? কারণ হচ্ছে ৯৮ নম্বর সুরার ৬ নাম্বার আয়াত-
যারা অমুসলিম তারা নিকৃষ্টতম প্রাণী, মুসলমানেরা শ্রেষ্ঠতম প্রাণী। ৯ নম্বর সুরার
২৮ এবং ২৯ নম্বর আয়াত- "অমুসলিমদেরকে স্বীকার করতেই হবে মুসলমানদের বশ্যতা'।
আজো
সেই "খানে সবুর রোড' খুলনায় আছে, সেই নামটি পর্যন্ত বদলায়নী, লজ্জাও নেই এ
জাতির।
পরের পোষ্টের জন্য চোখ রাখুন এই সাইটে এবং পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন। শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন।