মা এবং মেয়েকে এক সঙ্গে তাদের বাবা ভাইয়ের সামনে বলাৎকার করা হয়েছে




ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রসারের ইতিহাস  (পর্ব-১৮)
 (আগের পর্বটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন)
(প্রথম পর্ব থেকে পড়তে এখানে ক্লিক করুন)


অনেকের এই ধারনা থাকতে পারে যে, মুসলমানদের দ্বারা ব্যপক হারে হিন্দু হত্যা হিন্দুর সম্পত্তি লুটপাট করে এআত্মসাত করা, হিন্দু নারীদের জোর করে ধরে নিয়ে লুটের মালে পরিনত করা ইত্যাদি ঘটনা এক কালে মধ্যযুগে ঘটেছে বটে, তবে আজ আর তার পুনরাব্ৃত্তি হবেনা। আজ দেশ ও সমাজ সভ্যতার পথে অনেকটা অগ্রসর হয়েছে, তাই মুসলমানদের কাছ থেকে এই সব বর্বরতা আশঙ্কা নেই। মধ্য যুগ নেই তাই মধ্যযুগীয় বর্বরতাও হবে না। এই সব ব্যক্তিদের জানা নেই যে সমস্ত পৃথিবী সভ্যতার পথে অগ্রসর হলেও ইসলাম ও কোরান এবং সে সঙ্গে মুসলমান সমাজ আজও সেই মধ্য যুগেই দাঁড়িয়ে আছে। তারা সভ্যতার পথে এক পা ও অগ্রসর হয়নি। যে কোরান ও হাদিস মধ্য যুগের মুসলমানদের সমস্ত কাজে অনুপ্রানিত করত, সেই একই কোরান ও হাদিস আজকের মুসলমান সমাজকেও পূর্বোক্ত সকল রকম কাজে একই ভাবে প্রেরণা যুগিয়ে চলেছে। কোরানের ও হাদিসের কোন পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই কাফেরের প্রতি মুসলমানদের দৃষ্টিভঙ্গির কোন পরিবর্তন হয়নি। শুধু সুযোগের অপেক্ষা মাত্র। অনুকুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আজও মুসলমানরা কাফের কেটে রক্তা গঙ্গা বইয়ে দিবে। কাফেরর মৃতদেহ দিয়ে পাহাড় তৈরী করবে, কাফের নারীদের লুটের মালে পরিণত করবে এবং কাফেরদের মন্দির ভেঙে ধূলায় মিশিয়ে দেবে। তফাত শুধু এই, এক কালের তলোয়ার, শূল, বর্শা, তীর ধনুক ইত্যাদির বদলে আজ একে-৪৭ রাইফেল, গ্রেনেড, মার্টার, রকেট, বোমা, বিমান ইত্যাদি উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার হবে। উদ্দেশ্য একটাই, কাফের নির্মূল করে সারা বিশ্বে ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন করা। 


মুসলমানদের মন মানিসকতা যে কোন পরিবর্তন নেই তার উদাহারন হল ২০০২ সালেও আফগানিস্থানে বামিয়ানের বৌদ্ধ মূর্তি যা সারা বিশ্বের বাধা নিষেদকে অমান্য করে মুসলমানরা ধ্বংস করে ফেলে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যা ঘটেছিল তা অনেকেরই হয়তো মনে আছে । 

আনোয়ার শেখের ভাষায়__ 

"বিগত ১৯৭১ সালে পূর্ব বাংলায় হিন্দুদের উপর যে নারকীয় বর্বরতার অনুষ্টান করা হয়েছে আর তুলনা মানব ইতিহাসে অনুপস্থিত। বহু ক্ষেত্রে সমগ্র অধিবাসীকেই ঘিরে ফেলে অত্যাচার চালানো হয়েছে। মা এবং মেয়েকে এক সঙ্গে তাদের বাবা ভাইয়ের সামনে বলাতকার করা হয়েছে। মহিলাদের স্তন কেটে ফেলা হয়েছে। গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভস্থ সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে এবং মেঝেতে আছাড় মেরে শিশুদের মাথা থেতলে দেওয়া হয়েছে, তারপর বয়ষ্ক পুরুষদের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে, চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে এবং সব শেষে ধড় থেকে মাথা আলাদা করা হয়েছে। চরম উল্লাসের আনন্দ পাবার জন্য পরিবারের সবাইকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে সেই ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে।" 
[Anwar Sheikh, This is Jehad] 


এরপর... ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন মনিষীদের বাণী


শেয়ার করতে নিচের সোসাল আইকনে ক্লিক করুন

No comments

Powered by Blogger.