ঈশ্বর এক না একাদিক ?
আল্লাহ এক এবং হজরত মহাম্মদ তার রসুল অর্থাৎ "লা ইলা হা ইল্লালা মহাম্মুদুর রসুলাল্লা' |
আল্লাহ
এক এবং হজরত মহাম্মদ তার রসুল অর্থাৎ "লা ইলা হা ইল্লালা মহাম্মুদুর
রসুলাল্লা'। মুসলমানদের এই সিদ্ধ বাক্য যা দিয়ে তারা অন্য ধর্মের লোকদের ইসলামে
দিক্ষিত করে। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস আল্লাহ এক এবং মোহাম্মদ ই তার নবী। আল্লাহ বা
ঈশ্বর এক, এই কথা অনেক ধর্মের মানুষই মেনে নেন কিন্তু তাহলে কেন বিশ্বময় অন্য
ধর্মের লোকদের উপর মুসলমানেরা বর্বর আক্রমন চালায় ? আসলে তাদের আপত্তি হচ্ছে
মুহাম্মদ তাদের নবী এই কথাটা সারা পৃথিবীর মানুষকে স্বীকার করানো। যদিও তারা বলছে
আল্লাহ ই সব ক্ষমতার অধীকারী কিন্তু আপনি একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবেন
মুসলমানেরা আসলে আল্লাহ নয় মোহাম্মদের ই উপাসনা করে চলেছে জীবনবর। কেননা আপনি যদি
আল্লাহকে মেনে নেন তাহলে তারা আপনাকে ছেড়ে দিচ্চে না কিন্তু আপনি যদি মোহা-উন্মাদ
কে মেনে নেন তাহলে আপনি বাচতে পারেন। এই হল বর্বর ইসলামের নীতি।
এখন
দেখা যাক আল্লাহ এক না একাদিক? পৃথিবীর অনেক ধর্ম বিশ্বাষেই একাদিক ঈশ্বরের কথা
আছে। অনেক উপজাতী, পাহাড়ি, বন্য মানুষের ধর্ম বিশ্বাস বিশ্লেষন করলে দেখা যায়
তাদের বনদেবতা আছে, জলের দেবতা আছে, মেঘের দেবতা আছে, বৃষ্টির দেবতা আছে, গাছের
দেবতা আছে, সৃষ্টির দেবতা, রক্ষার দেবতা, সন্তান দানের দেবতা ইত্যাদি। অনেকটা
হিন্দু ধর্মের মত, যদিও হিন্দু ধর্মে বহু ঈশ্বরেরও ঈশ্বর বলে শ্রীকৃষ্ণকে উল্ল্যেখ
করা হয়েছে।
ঈশ্বর
এক এই কথার যুক্তি হচ্ছে- ঈশ্বর যদি একাদিক হন তাহলে সব ঈশ্বরেরা যুদ্ধ করে পৃথিবী
ধ্বংস হয়ে যাবে, অথবা এক ঈশ্বর যখন বৃষ্টি চাইবে অন্য চাইতে পারে রোদ তাহলেই তো
ঝামেলা লেগে যাচ্ছে। কিন্তু যদি একেক বিষয়ের ঈস্বর একেক জন হন তাহলে আর এই সমস্যা
থাকছে না। যে বৃষ্টির দেবতা সে বৃষ্টি দিবে, সূর্যের দেবতা রোদ দিবে।
তবুও
যদি ঈশ্বরে ঈশ্বরে ঝামেলা হতে পারে তাহলে এটাও ভাবা উচিত ঈশ্বরদের মধ্যে শান্তি
চুক্তিও হতে পারে। শক্তিশালী হলেই যে তাদের মধ্যে ঝামেলা হবে, শক্তির লড়াই হবে তা
ভাবা টিক নয়। বেশি শক্তিমানেরা শক্তির বড়াই করেনা, বরং অল্প শক্তিমানেরাই শক্তি
প্রদর্শন করতে চায়। ঈশরেরা যদি সর্ব শক্তিমান হয় তাহলে রাগ নিয়ন্ত্রন করার শক্তিও
নিশ্চয় তাদের আছে। আসলে একাদিক ঈশ্বর থাকলে তাদের মধ্যে ঝড়গা হবে এইরকম চিন্তা
শুধু মুসলমানেরাই করে কারণ মুসলমানের সাথে কারো মিল হয়না। তারা কোন অন্য কোন
ধর্মকেই মেনে নিতে পারেনা। ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় জন্ম থেকেই
ইসলাম দোজখের আগুনে পুড়ছে।
ইউরোপীয়
ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো দেশ ই শক্তিধর, আমরা দেখেছি আগে তাদের মধ্যে ঝড়গাঝাটি হলেও
ইউরোপীয় ইউনীয়ন হবার পর তারা কেউ কারো উপর আক্রমন করেনা, তাদের সমস্যা আলচনার
মধ্যমেই মিটে যাচ্ছে। এটাই হচ্ছে ভদ্র লোকের কালচার, সভ্য লোকের কালচার। অসভ্য
আরবের বর্বর জাতীরাই শুধুমাত্র কথায় কথায় তরবারি আর চাপাতি হাতে তুলে নেয়। আমাদের
ঈশ্বরেরা নিশ্চয় তাদের মত বর্বর নয়, অসভ্য নয়।
আমরা আগামী প্রজন্মের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরার প্রয়াস করছি মাত্র এই উদ্যোগে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পরের পোষ্টের জন্য চোখ রাখুন এই সাইটে এবং পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন। শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন।