সেদিন আপনার মুখে থাকবে গোফ কামানো দাড়ি, আর মাথায় থাকবে টুপি




ইসলামের স্বরূপ-০৩

ইরানের শাষক আয়াতুল্লাহ খোমেইনি ইসলামের সামান্য সমালোচনাকারী বৃটিশ লেখক সালমান রুশদির মাথার দাম ধরাতে বিশ্বজুয়ে যে ভয়ের আবহ তৈরী হয়েছিলো ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকার ওয়ার্ল্ডট্রেড সেন্টার এবং পেন্টাগনের উপর বর্বর ইসলামিক আক্রমনের পর তা ভেঙে খান খান হয়ে যায়। সারা পৃথীবীর মানুষ বুঝতে পারলো যে কেবল মুসলিম তোষণ করে কেউ বাচতে পারবে না। আমেরিকার মত মুসলিম তোষনকারী দেশ আর কে আছে ?
কাস্মীর, বসনিয়া, কসবা, চেচনিয়া, দাগেস্থান, সিঙ্কিয়ান, সিয়েরালিওন, জোলো প্রভৃতি যেখানেই মুসলমানরা বিচ্ছিন্নতাবাদী  আন্দোলন করেছে আমেরিকা তাদের অর্থ দিয়ে অস্র দিয়ে কুটনৈতিক সমর্থন দিয়ে অকুন্ঠ সাহায্য করেছে ।
কসবোতে আমেরিকা নিজে মুসলমানদের পক্ষ নিয়ে খ্রীষ্টানদে বিরুদ্ধেও লড়েছে। কিন্তু এতো করেও সে আজো মুসলমানদের বন্ধু হতে পারলোনা। সারা বিশ্বের মুসলমানরা আজ আমেরিকাকে তাদের ১নম্বর শত্রু বলে মনে করে । প্রত্যেকটি অমুসলমান আমেরিকানের মাথার উপর আজ ১০ হাজার ডলার করে দাম ধরেছে বেশ কিছু মুসলমান গোষ্টি।
তাই আমেরিকা তথা সারা বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন উঠেছে
কি লেখা আছে কোরানে ?
কি বলে ইসলামিক তত্ব ?
লক্ষ লক্ষ কপি কোরান বিক্রি হচ্ছে আমেরিকাতে । সমস্ত অমুসলমানরা আজ জানতে চাইছে কেন ইসলাম তাদের মারতে চায় ?
লক্ষ লক্ষ অমুসলমান আজ যেনে ফেলেছে  ইসলামের তত্ব, শত শত বই লেখা হচ্ছে সারা পৃথিবীতে, কোরান ও ইসলামের  সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে সারা পৃথিবীতে।
মেকি ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতে সেই ঝড় ডুকতে না দেওয়ার জন্য সংবাদ মাধ্যম, দূর্বুদ্ধিজীবি ও রাজনৈতিকদের চেষ্টার অন্ত নেই।
তারা ভাঙা রেকর্ডের মত বলে চলেছে-
ইসলাম মানে শান্তি
ইসলাম কখনো সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়না
ইসলাম ভাল, সন্ত্রাসবাদীরা খারাপ
তারা যে কাজ করছে তা ইসলাম বিরোধী
কিন্তু তারা ভুলে গেছে যে ইসলামের মূল স্তম্ভ বা আকর গ্রন্থ যে কোরান তা আজ লক্ষ লক্ষ অমুসলমান পড়ে ফেলেছে। তারা জেনেছে ইসলাম মানে কি, ইসলাম কি চায় ।

মুসলমানরা ইসলামের সমালচনাকারীদের মাথার দাম ধরে ধরে দেওলিয়া হয়ে গেছে। কয়েকজন ইসলাম বিরোধী লেখক ও রাজনীতিককে হত্য করেও কোন লাভ হয়নী। একজন লেখককে হত্য করলে তার যায়গায় দশ জন লেখকের জন্ম হচ্ছে। ঠিক রক্ত বিজের মত। একটা বই ভয় দেখিয়ে বন্ধ করলে তার যায়গায় ১০ টা বই লেখা হচ্ছে। ইসলাম বিরোধী কোন বই একটা দেশে নিষিদ্ধ করলে তা একশো টা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। মুসলমানরা যত বিষ্পরন ঘটাচ্ছে ইসলামের উদ্দেশ্য নিয়ে সারা পৃথিবীতে তত চর্চা হচ্ছে। শেষে এখন ইসলামের জেহাদিরা সারা পৃথিবীর প্রায় সব বড় বড় সংবাদ মাধ্যমকে অর্থ ও সন্ত্রাসের দ্বারা বশীভুত করে ইসলাম বিরোধী লেখক ও রাজনৈতিকদের প্রচারের আলো থেকে সরিয়ে দিচ্ছে, তা তিনি যতই খ্যতিমান হোক না কেন। তাই আজ ইসলামের সমালচনাকারী ন্যায়পাল নোবেল পুরুষ্কার পেলেও তার প্রকৃত বক্তব্য আজ পর্যন্ত কোন টেলিভিশান ও সংবাদপত্রে দেখা যায়নি।

ইংলেন্ডের প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী মার্গারেট থ্যচার ইসলামের তত্বকেই সন্ত্রাসবাদের প্রধান কারন হিসাবে বর্ণনা করেছেন বলে তাকে প্রচারের আলো থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে ।
(দেখুন 'দ্যা গার্ডিয়ান' পত্রিকা, ১২-০২-২০০২ এ)
কিন্তু ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার আক্রমনের ঘটনা মানুষের দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দিয়েছে। মানুষ আজ বুঝতে পেরেছে বালির মধ্যে মুখ গুজে থেকে আত্মরক্ষা করা যায়না, সত্যের সম্যূখীন হতেই হবে।
হাজার বছরের যে সন্ত্রাসের আবহাওয়া ইসলামের অদ্ভুদ অমানবিক তত্বকে সমালোচনার হাত থেকে রক্ষ করে চলেছিল আমেরিকার মত দেশে এক চরম সন্ত্রাসের দমকা হওয়া এসে সেই ভয়ের আবহাওয়া ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। জেগে উঠা আগ্নেয়গিরির মত ইসলামের সমালচনা আজ উপচে উঠছে দিকে দিকে।
কোন লাদেন রুখবে একে ? কোন সম্রাজ্যই চিরস্থায়ী হয়না,ইসলামের সন্ত্রাসের বিশ্বজোড়া সম্রাজ্য আজ ভাঙ্গনের মুখে। ইসলামের রক্ষাকর্তা হিসাবে যেই লাদেনকে অয়াজ মুসলমানরা আজ মাথায় তুলে নাচছে সেই লাদেনই আসলে ইসলামের মৃত্যু ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জজ বুস সন্ত্রাসবাদীদের সম্পর্কে বলেছেন-"ওদের ধ্বংস ওরা নিজেরা ডেকে এনেছে"।
আমেরিকার সান হোজে শহরের পুলিশ প্রধান মেকনামারা বলেছেন-- "প্ৃথিবীর শেষ সন্ত্রাসবাদীটিকেও আমরা ধ্বংস করবো"।
অতয়েব, হে কাফের আপনারা কোরান পড়ুন, ইসলামকে জানুন, মনে রাখবেন আজ শেচ্চায় কোরান না পড়লে এমন একটা দিন আসতে পারে যেদিন আপনাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কলেমা পড়ে মুসলমান হয়ে কোরান পড়তে হবে।
সেদিন আপনার মুখে থাকবে গোফ কামানো দাড়ি, আর মাথায় থাকবে টুপি।
সেই দিনটার জন্য অপেক্ষা করবেন না। আজ ই কোরান পড়ুন। 

পরের পর্বের জন্য চোখ রাখুন এই সাইটে এবং পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন। শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন
Powered by Blogger.