কোরানের আসল বক্তা কে, আল্লাহ না মুহাম্মদ?



কোরানের আসল বক্তা কে,
আল্লাহ না মুহাম্মদ?
পর্ব-১
কোরানের আসল বক্তা কে তা নিয়ে প্রচুর বিভ্রম তৈরি হয়।শত শত আয়াত রয়েছে কোরানে যা কিনা একজন অবুঝ মানুষও বুঝতে পারবে এই আয়াত গুলির বক্তা মুহাম্মদ নিজে।তাই আজ এ সকল কিছু আয়াতের পার্থক্য দেখব।
যেমন সূরা ইউনুছঃ ১০।
আয়াতঃ ৯৯।
وَلَوْ شَاء رَبُّكَ لآمَنَ مَن فِي الأَرْضِ كُلُّهُمْ جَمِيعًا أَفَأَنتَ تُكْرِهُ النَّاسَ حَتَّى يَكُونُواْ مُؤْمِنِينَ
আর তোমার পরওয়ারদেগার যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান নিয়ে আসতে সমবেতভাবে। তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তী করবে ঈমান আনার জন্য?
উপরে এই আয়াতটি নবীর সাথে আল্লাহর কথোপকথন মনে হয় এবং সহজে বুঝা যায় এখানে আল্লহ বক্তা কিন্ত এর পরের আয়াতটি কি প্রমান করে??
সূরা ইউনুসঃ১০।
আয়াতঃ১০০।
وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَن تُؤْمِنَ إِلاَّ بِإِذْنِ اللّهِ وَيَجْعَلُ الرِّجْسَ عَلَى الَّذِينَ لاَ يَعْقِلُونَ
আল্লাহর অনুমিত ছাড়া বিশ্বাস করা কারও সাধ্য নাই, যতক্ষণ না আল্লাহর হুকুম হয়। আর যারা বুঝে না আল্লাহ তাদের উপর কলুষলিপ্ত করবেন।
এই আয়াত পড়ে মনে হয় যে, মুহাম্মদ পৌত্তলিকদের একরোখা আচারনের জন্য নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন
মাত্র। এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা আল্লাহ কখনো এমন মনোভাব প্রকাশ করবেন না যে,কিছু মানুষ তাকে বিশ্বাস কারুর আর কিছু মানুষ তাকে অবিশ্বাস করুক।পরম স্রষ্টা কখনো রাগ করতে পারেন না কারণ রাগ হল মানবীয় অনুভূতি দুর্বলতার প্রকাশ এবং রাগের কারন হচ্ছে কোন কিছু ব্যক্তির-ইচ্ছার বিপরীত ঘটা।অথচ আল্লাহর জন্য অপছন্দনীয় কিছু হয়া বা ইচ্ছার বিপরীত ঘটা সম্ভব নয়।তাই এই আয়াতটি সরাসরিভাবে প্রমান করে নবী নিজেই বক্তা।
চলবে

1 comment

Anonymous said...

Allah Subhanahu Wa Ta'ala said:

"আমি অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে কতক লোক (কুরআনকে) অস্বীকার করবে।
"আর এ কুরআন কাফিরদের জন্য অবশ্যই দুঃখ ও হতাশার কারণ হবে (যখন কুরআনে বর্ণিত শাস্তি তাদেরকে ঘিরে দধরবে)।"
(QS. Al-Haqqah 69: Verse 49 and 50)

Powered by Blogger.