কারা এই কাফের ? তাদের জন্য এমন কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা কেন ?
ইসলামের স্বরূপ-০৯
কোরানে
কাফের শব্দটি শত শত বার ব্যবহার হয়েছে, কাফেরদের নির্বিচারে হত্যা করতে বলা হয়েছে,
তাদের গর্দানে আঘাত করতে বলা হয়েছে। সুরা-৪৭, আয়াত-৪।
তাদের
ডান হাত ও বাম পা কিংবা বাম হাত ও ডান পা কেটে ফেলতে বলা হয়েছে। সুরা-৫, আয়াত-৩৩।
প্রশ্ন
হল কারা এই কাফের ? তাদের জন্য হাজার রকম নিশংস শাস্তির ব্যবস্থাইবা কেন? আজকালকার
দূর্বুধিজীবিরা বোঝাতে চান কাফের মানে পাপী, অন্যায়কারী বা অবিশ্বাশী। সুতরাং
পাপীকে শাস্তী দিলে আর কি খারাপ ? কিন্তু কাফের শব্দের আসল মানে হল যে কোরান মানে
না অর্থাৎ সমস্ত অমুসলমান। কাফের শব্দের
এই অর্থ কোরানেই পরিষ্কার করে বলা আছে।(সুরা-৫, আয়াত-৪৪) সুতরান হিন্দু,
খ্রীষ্ঠান, ইহুদী, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সী সবাই কাফের এবং মুসলমানের কাছে
বধযোগ্য। কাফের আবার দুই রকম, খ্রীষ্ঠান-ইহুদি প্রভৃতি যারা মূর্তি পূজা করে না
তারা অপেক্ষাকৃত ভাল কাফের। এরা জিজিয়া কর দিয়ে বাচলেও বাচতে পারে। কিন্তু
হিন্দুরা যারা মূর্তিপূজা করে তারা নিকৃষ্টতম, ইসলামের চোখে তাদের বাচবার কোন
অধিকারই নেই। সুরা-৪ আয়াত ১১৬ তে আছে। কোরান পড়লে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কোরানের
বাংলা অনুবাদেও অনেক আরবী শব্দ ব্যবহার করা হয়। সুরা-৯ তওবা, আয়াত-৫।
"অতপর
নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে অংশীবাধীদের যেখানে পাবে বধ করবে, তাদের বন্ধী করবে,
অবরোধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাটিতে তাদের জন্য ওত পেতে থাকবে। কিন্তু যদি তারা তওবা
বা অনুসূচনা করে, যথাযথ নামাজ পড়ে যাকাত অথবা দান দেয় তবে তাদের পথ চেড়ে দেবে।
নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।' কোরানের এই আয়াতটি খুব তার্তপর্যপূর্ণ,
কোরানের প্রতিটি বানী আল্লার চিরন্তন আদেশ কেবল একটা উক্তি মাত্র নয়। মুসলমানরা
বেশিরভাগ ক্ষত্রেই আরবী কোরান পড়ে কিংবা আরবি পড়তে না পারলেও আরবী কোরানের মূল ভাব
ও বক্তব্য তারা মাদ্রাসায় বা বাবা ঠাকুরদার কাছে মুখে শুনে শুনে শুনে রপ্ত করে
নেয়। সেই জন্য যখনি কোন কোরান বাংলায় ইংরেজী প্রভৃতি ভাষায় তারা অনুবাদ করে তখন
অনুবাদটি এমন ভাবে করে যাতে অমুসল্মানরা তা পড়লেও তার প্রকৃত মানে ঠিকমত বুঝতে না
পারে। এর জন্য আরা কোরানের কয়েকটা দরকারি শব্দের মানে ঘোলাটে করে দেয়। যেমন কাফের
শব্দের মানে কিভাবে বিকৃত করা হয়েছে তা আগেই বলেছি। এই আয়াতটির মধ্যে মারতে কাটতে
বন্ধী করতে বলা হচ্ছে অংশীবাধীদের।
এই
অংশীবাদী কারা ? অংশীবাধী কথাটা মূল আরবি মুশরিক শব্দের অনুবাদ। মুশরিক শব্দের
সোজা মানে হল পৌত্তলিক অর্থাৎ যারা মূর্তি পূজা করে। যেমন হিন্দুরা। যারা ভিবিন্ন
মূর্তিকে ভগবানের অংশ হিসাবে পূজা করে । তারাই হল অংশীবাদী।
যাতে
সরল অবোধ হিন্দুরা বুঝতে না পারে কোরানে তাদেরকেই বধ করতে বন্ধী করতে বলা হচ্ছে
তাই সুচতুর কোরান অনুবাদক পোত্তলিক কথাটি না বলে ঘুরিয়ে অংশীবাদী বলে হিন্দুদের
বোকা বানাবার চেষ্টা করছে।
আচ্ছা
এবার দেখা যাক কি করলে পৌত্তলিকদের চেড়ে দেওয়া হবে? তওবা করলে, জাকাত দিলে এবং
নামাজ পড়লে। এখানে বাংলা অনুবাদেও সুচুতুরভাবে আরবী শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে যাতে
বাঙ্গালী হিন্দুরা এর কোন মানে বুঝতে না পারে। তোওবা কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল
অনুশোচনা করা। কিন্তু এর প্রকৃত ইসলামী তার্তপর্য হল অনুশোচনা করা মানে পৌত্তলিক
ব্যক্তির মুসলমান না হবার জন্য অনুশোচনা করা অর্থাৎ সোজা কথায় মুসলমান হওয়া।
কিন্তু কেউ যদি কেবল মুখে বলে হ্যা আমি মুসলমান হলাম। তাহলেই কিন্তু তাকে ছেড়ে
দেওয়া হবেনা। তাকে মুসলমানদের মত যথাযতভাবে নামাজ পড়তে হবে এবং জাকাত অর্থাৎ অর্থ
দান করতে হবে। এর ও তার্থপর্য গভীর। যাকাত কথার আক্ষরিক অর্থ দান হলেও এর একটা
বিশেষ ইসলামী মানে আছে, এটা কিন্তু সেচ্ছাকৃত দান নয়। প্রত্যেক মুসলমানের ধর্মের
জন্য প্রদেয় বাধ্যতামূলক অনুদান যা মুহাম্মদ নিজে বা তার পরবর্তী স্থলাবিসিক্ত
খলিফা পাবেন। এই অর্থ ব্যয় করা হবে অমুসলমানকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার জন্য এবং
অমুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য। সুরা-৯, আয়াত-৬০ এ আছে।
বর্তমানে
যাবতীয় সন্ত্রাসবাদী কাজের অর্থই আসছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দেওয়া যাকাতের টাকা
থেকে। বড় বড় শেখ যেহাদের জন্য শত শত কোটি টাকা-দাউদ ইব্রাহিম, লাদেন প্রভৃত
যেহাদিকে দান করছে। অর্থাৎ যে অমুসলমানরা মুসলমান হয়েছে বলে দাবী করবে যে যে
সত্যিই ইসলামের অনুরাগী হয়েছে তা বোঝাতেই তাকে এই দান দিতে হবে। অর্থাত
আন্তরিকভাবে মুসলমান না হলে পৌত্তলিকদের বধ করা হবে। অর্থাৎ বোঝা যায় হয় মুসলমান
হও নয় মরো।
এটাই
অমুসলমানদের প্রতি ইসলামের বানী।
ফেইসবুকে - www.facebook.com/mukh.mukhos
পরের পর্ব
পরের পোষ্টের জন্য চোখ রাখুন এই সাইটে এবং পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন। শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন
No comments
Post a Comment