অমুসলিমকে গিলে ফেলতে হবে মুসলমানের থুথু
ইসলাম প্রসারের ইতিহাস (পর্ব-২৮)
মুসলমান
শাষকগণ আলেম ও ওলামাগনের পরামর্শ মত ভারতীয় হিন্দুদের উপর জিজিয়া কর আরোপ
করেছিলেন। কাফেরকে ইসলামে টেনে আনাই জিজিয়ার উদ্দেশ্য। তবে কেউ যদি মুসলাম হয়
তাহলে তার বকেয়া জিজিয়া মকুব হয়।
হযরত মুহাম্মদ স্পস্ট জানিয়েছেন, জিজিয়া মুসলমানের জন্য নয়, এটা কাফেরির
জন্য এক প্রকার সাজা। সাজা বলেই এর নাম জিজিয়া, যার আক্ষরিক অর্থ আক্কেল সেলামী (Retribution) ।
৬২৮
খৃষ্টাব্দে খায়বার বিজয়ের পর মুহাম্মদ খায়বারের ইহুদিদের জমি জমা কেড়ে নেন, তারপর
সেগুলি ফেরত দিয়ে ব্যবস্থা করেন যে, খাবারের ইহুদিরা ফসলের আধা আধি তাকে কর হিসেবে
প্রদান করবে।
সম্রাট
আলাউদ্দিনও (পদ্মাবতী খ্যাত) ভারতের হিন্দুদের উপর এই হারে কর আরোপ করেছিলেন।
কাজীর (কাজী মুগিস) নিকট এই কর আদায়ের
নিয়ম জানতে চাইলে কাজী সুলতানকে বলেছিলেন-
""শরিয়তে
আছে, যখন দেওয়ানের তহশিলদার তাদের নিকট খেরাজ (জিজিয়াকর) চাইবে, ততক্ষনাত তারা
বিনা দ্বিধায় অত্যান্ত তাজিমের (বিনয়ের) সাথে তা দিয়ে দিবে। যদি কোন কারণে
তহশিলদার তাদের মুখে থুথু দেয়, তবে তা তাদের প্রাপ্য বলে গ্রহন করবে এবং আরো বেশি
করে তহশিলদারের খেদমত করতে থাকবে। এই রকম তাজিম তোয়াজ ও থুথু গিলে ফেলবার
তার্তপর্য এই যে, জিম্মিরা সর্বদাই অসম্মানের মধ্যে থাকবে। কারন, এর মধ্য দিয়ে
সত্য ধর্ম ইসলামের সম্মান ও মিথ্যার ধর্মের অসম্মান প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। আল্লাহ
এদেরকে অসম্মানকর অবস্থার মধ্যে রাখা ধার্মিকতার অংশ বলে গণ্য করেন। কারন এরা হজরত
মোস্তফার ধর্মের সর্বাপেক্ষা মারাক্তক শত্রু। এই জন্য হযরত এদেরকে হত্যা করা, এদের
ধন সম্পত্তি লুঠ করা এবং দাসদাসী হিসেবে গ্রহন করবার আদেশ দিয়েছেন।''
(জিয়াউদ্দিন
বারাউনী, তারিখ-ই-ফিরোজশাহী, পৃ-২৩৯ এবং ড.আম্বেদকরের ইংরেজী রচনাবলী, ৮ম খন্ড, পৃ-৬৩)
(ইসলামী শান্তি ও বিধর্মী সংহার-৫৭)
অন্য পর্বগুলো দেখুন https://mukh-o-mukhos.blogspot.com/2017/09/blog-post.html
পরের পোষ্টের জন্য চোখ রাখুন এই সাইটে এবং পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন। শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন
No comments
Post a Comment