তাজমহল ছিল শিব মন্দির



ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রসারের ইতিহাস  (পর্ব-১৫)
(আগের পর্বটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন)


ঐসব  বিশ্বাষঘাতক ঐতিহাসিকদের কারনেই পৃথিবীর মানুষ আজ তেজোমহালয় শিব মন্দিরকে একটি কবর বলে জানে। অথচ সম্রাট শাহজাহানের সভাসদ অবদুর হামিদ লাহোরী তার বাদশাহ নামার ৪০৩ ও ৪০৪ পৃষ্ঠায় তাজমহলের প্রকৃত ইতিহাস লিপিদ্ধ করেছেন। 
তাজমহল সম্পর্কে মধ্যযুগের এই একমাত্র প্রামাণ্য গ্রন্থ খানাকে উপেক্ষা করে আধুনিক লেখকগন এক দৈব বাণী পেয়ে রাজা পরমার্দিদেবের তৈরী শিব মন্দিরটিকে শাহজাহানের স্ত্রীর কবর বলে চালিয়েছেন। 
শুধু তাই নয়, সভাসদ যেখানে বলেছেন বিশাল ইমারতটি রাজা জয় সিংহের ছিল, সম্রাট শাহাজাহান সেটি তার কাছ থেকে নেন। 
সেখানে আধুনিক ঐতিহাসিকগন দৈবী ক্ষমতা বলে সেটি নির্মানের শ্রমিক থেকে টাকার অংক পর্যন্ত কষে বের করেছেন। অথচ চান্দেলরাজ পরমার্দিদের(পরমল) কর্তৃক ১১৫৬ খৃষ্টাব্দে নির্মিত তেজোমহালয় শিব মন্দিরকে শাহজাহান মুর্তিশূণ্য করে ইসলামী রূপ দিয়েছিলেন সেকথা তার সভাসদই বর্ণনা করে গিয়েছেন। 
এমনকি শাহজাহানের স্ত্রীর নাম আরজুমান্দ বানু পরিবর্তন করা হয় মন্দিরের নামের সাথে সংগতি রেখে। 
মুলতঃ সম্রাট শাহজাহান মন্দিরটিকে অপবিত্র করার জন্যই এমন ব্যবস্থা করেছিলেন। অথচ আজ মিথ্যা প্রেমের কত কাহিনী প্রচার হয়েছে আমাদের জ্ঞানপাপী ঐতিহাসিকদের কল্যানে।






একটি আমেরিকান ল্যাবরেটরী দ্বারা কার্বন 14 পরীক্ষায় এবং নিউ ইয়র্কের প্র্যাট স্কুল অফ প্রফেসর কর্তৃক প্রবর্তিত তেজের নদী প্রান্তের একটি কাঠের টুকরাটি প্রকাশ করেছে যে শাহজাহানের চেয়ে 300 বছরের পুরনো দরজাটি দাড়িয়েছে। 11 শতকের পর থেকে বারবার মুসলিম আগ্রাসীদের দ্বারা তাজতের দরজাগুলি ভেঙ্গে যায়, সময়-কাল পরিবর্তিত হতে থাকে। তাজ মসজিদটি অনেক পুরানো। এটি 1155 এডি এর অন্তর্গত, যথা, শাহজাহানের প্রায় 500 বছর আগের।

এরপর... জ্যান্ত কাফের ধরে আনলে ২ টাকা আর মাথা কেটে আনলে ১ টাকা



শেয়ার করতে নিচের সোসাল আইকনগুলোতে ক্লিক করুন

1 comment

মুখ ও মুখোশ said...

ভারতের আগ্রায় অবস্থিত অন্যতম বিশ্ব ঐতিহ্য ও পর্যটনকেন্দ্র তাজমহল মোগল সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মমতাজ মহলের সমাধি, নাকি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেবতা শিবের মন্দির, তা দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে পরিষ্কার করতে বলেছে ভারতের ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন।

সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের তথ্য কমিশনার শ্রীধর আচার্য জানান, অনেকেই দাবি তুলেছেন, বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম এই নিদর্শনটি শিবমন্দির হিসেবে মোগল সম্রাজ্যকে উপহার দিয়েছিলেন এক রাজপুত রাজা। এই বিতর্কে ইতি টানার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে বিষটি পরিষ্কার করতে হবে।

এর আগে দেশটির ইতিহাসবিদ পি এন ওয়াক ও আইনজীবী যোগেশ সাক্সেনা তাজমহলকে শিবের মন্দির দাবি করে একটি মামলা করেন বলে জানান তথ্য কমিশনার শ্রীধর।

শ্রীধর আরো বলেন, তাজমহলের উৎপত্তি নিয়ে বিভিন্ন মামলা নানা সময়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন আদালতে খারিজ করে দেওয়া হয়। তবে এ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা এখনো আদালতে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এ রহস্য উদঘাটনের ভার এবার ভারত সরকারকে হাতে নিতে হবে বলে জানান তিনি।

প্রচলিত ইতিহাস অনুযায়ী, আগ্রা শহরে যমুনা নদীর তীরে ১৬৩২ সালে নির্মাণ করা হয় তাজমহল। সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মৃতিস্বরূপ সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে সমাধিটি নির্মাণ করেন।


http://www.ntvbd.com/world/147657/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B0

Powered by Blogger.