ইসলাম যদি এতই খারপ হয় তাহলে ১৪০০ বছর ধরে কিভাবে টিকে আছে ??


ইসলামের স্বরূপ-০৬


এভাবে মেকি-সেকুলার দূর্বুদ্ধীজীবি কোরানের পক্ষে ওকালতি করতেই থাকেন, যখন তার সব যুক্তি শেষ হয়ে যায় তখন প্রশ্ন করেন- ইসলাম যখন ১৪০০ বছর চলেছে তা কি করে খারাপ হতে পারে ? বিশ্বের ১৩০ কোট মুসলমান কি করে তা মানবে ?
এই প্রশ্নটি কিন্তু খুব যুক্তিযুক্ত। এর উত্তরও খুব পরিষ্কার। কোরানের বিষয়ে অমুসলমানদের জ্ঞানের অভাবের কারণেই ইসলাম ধর্ম এতদিন চলতে পেরেছে । অমুসলমানরা যেদিন জানতে পারবেন - কোরানে লেখা আছে- সমস্ত অমুসলমানদের হত্যা করা (সুরা ৯-আয়াত-৫) তাদের সম্পত্তি ও স্ত্রীদের লুণ্ঠন করাই (সুরা-৮-আয়াত-৬৯, সুরা-৪-আয়াত-২৪) মুসলমানদের পরম পবিত্র কর্তব্য, সেদিন ইসলাম পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হবে।
আর বিশ্বের ১৩০ কোটি মুসলমান, তাদের মধ্য যাদের মানবিকতাবোধ, যুক্তিবোধ এখনো অবিশিষ্ট আছে, তারা অন্য মুসলমানদের ভয়ে চুপ করে থাকেন- কারন ইসলামের বিধান হল কোন মুসলমান ইসলামের সমালোচনা করলে অন্য যে কোন মুসলমান তাকে হত্যা করতে বাধ্য থাকবেন। সুতরাং কোন মানবতাবাদী মুসলমান নিজের গনিষ্ঠ মহলে এমনকি পরিবারের মধ্যেও ইসলামের সমালোচনা করতে সাহস পান না। সুতরাং সন্ত্রাসই হল ইসলামের মূল চালিকা শক্তি (সুরা-০৮- আয়াত-১২)। সন্ত্রাসের দ্বারা-ই ইসলাম এত বছর টিকে আছে।
আবার ওসামা বিন লাদেরনের সন্ত্রাসের ফলে আজ ইসলামের অস্তিত্ব এক বিরাট প্রশ্ন চিহ্নের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, কারন সারা পৃথিবীর মানুষ আজ বুঝতে পারছে-সন্ত্রাসকে আর ভয় করে লাভ নেই। অমুসলমানকে হত্যা করে কিংবা বলপূর্বক মুসলমান করে (সুরা-০৮- আয়াত-৩৯) সারা পৃথিবীতে ইসলাম প্রসার করাই ইসলামের একমাত্র উদ্দেশ্য।
সুতরাং মুখ বুঝে থাকলেও যখন মরতে হবে তার থেকে প্রতিবাদ করে মরা অনেক ভাল। ভয় যখন মাত্রা চাড়া হয়ে যাও তখনই মানুষ অকুতোভয় হয়ে যায়।
তাই আজ সারা বিশ্বে শত-শত ব্যক্তি শত বই লিখেছেন ইসলামের স্বরূপ উদ্ঘাটন করে। কজনের মাথার দাম ধরবে ?
কটা বই নিষিদ্ধ করবে ?
কত লক্ষ মানুষের মুখ চাপা দিবে ?

ইসলামের ১৪শ বছর টিকে থাকার পিছনে সন্ত্রাসের ভূমিকা ই প্রধান হলেও আরো কতগুলো কারন উল্ল্যেখ করতে হয়।
যেমন-
০১। মানুষের যত রকম কূ প্রবৃত্তি আছে যেমন জীব হিংসা, অন্যের সম্পত্তি ও স্ত্রী কেড়ে নিয়ে ভোগ করা, বহু বিবাহ, নিষ্ঠুরতা এ-সব ই কোরানে উত্সাহিত করা হয়েছে। কোরানে দেওয়া আয়াতগুলি দেখলেই তা বোঝা যাবে। জল যেরকম উচুথেকে নিচুর দিকে গড়িয়ে আসে মানুষের চরিত্রও তেমনি আদিমতার দিকে ছুটে যেতে চায়। ধর্মের কাজ ই হল সংযমের মাধ্যমে মানুষকে আদিমতা ও পশুত্ব থেকে সভ্যতা ও আদ্যাত্ত্বিকতার দিকে নিয়ে যাওয়া। তাই প্রকৃত ধর্মের চর্চা কঠিন।
কিন্তু ইসলাম মানুষকে আধিমতার দিকে নিয়ে যেতে চায়। এই পথ নিন্মগামী ও পিচ্ছিল। তাই যে সব মানুষ বর্বর প্রকৃতির তাদের কাছে ইসলাম স্বভবত-ই জনপ্রিয় হবে।  

০২। মৃত্যুর পর স্বর্গেও রাখা হয়েছে অপরিমিত যৌন সম্ভোগের ব্যবস্থা যা লগুমতি মানুষকে সহজেই আকৃষ্ট করে।

০৩। অমুসলমানদের  বিরুদ্ধে নিরন্তর যুদ্ধের আবহাওয়া সৃষ্টি করা এবং এই যুদ্ধ বা যেহাদকেই ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ কর্তব্য বলে প্রতিষ্ঠা করা।

০৪। দিনে ৫ বার নামাজের মধ্য দিয়ে নিরক্ষর মুসলমানদের এই জেহাদের তত্ব বারংবার শোনানো।

০৫। প্রচলিত আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা বর্জন করে ছোট বেলা থেকেই ইসলামের জেহাদি শিক্ষায় সকলকে শিক্ষিত করা। তবে দেখা গেছে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মুসলমানরাও কম জেহাদি নয় ।

০৬। ইসলামের সমালোচনাকারীদের জন্য চুড়ান্ত সন্ত্রাস সৃষ্টি করে সমালোচনার মুখ বন্ধ করা।

০৭। কোরানের একটি অক্ষরও যাতে পরিবর্তন করা না যায় আর ব্যবস্থা করা।

০৮। একটি সমাজবিরোধী মতবাধকে একটা ধর্ম বলে ঘোষণা করে সারা বিশ্বের চোখে ধূলো দিয়ে অন্যান্ন ধর্মের মত একটা মর্যাদা রক্ষা করা।

০৯। জীবন্ত পশুকে নিষ্ঠুর ভাবে তিলে তিলে জবাই করে খাবার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যে নিষ্ঠুর চর্চা ইসলামে করা হয় তা-ই একজন যোদ্ধাকে নৃশংস যোদ্ধায় পরিনত করে।

১০। ইসলামীক বিশ্ব ভাতৃত্বের ধারনা প্রচারের মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে চুড়ান্ত ঐক্য সৃষ্টি করা।

১১। ইসলামের পিছনে অন্তত ৫০টি দেশের পরিপূর্ণ সমর্থন আছে, এরা হাজার হাজার কোটি টাকা,অস্র ও কুটনৈতিক সমর্থন দিয়ে যেহাদিদের সাহায্য করছে, আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে অপরপক্ষে অন্য কোন ধর্মের পিছনে কোন রাষ্ট্র শক্তি নেই বললেই চলে।

১২। অমুসলমান সভ্য জগতের সভ্যতা ও ন্যায়নীতি বোধ-ই ইসলামের প্রধান অস্র । এ কথাটার একটু ব্যখ্যা প্রয়োজন - যখন কোন বর্বর শক্তির সাথে সভ্য শক্তির সংঘর্ষ হয় বর্বর   শক্তি সর্বদাই সুবিধাজনক অবস্থায় থাকে। কারন তারা যে কোন রকম অনৈতিক আঘাত করতে পারে। ইসললামী যোদ্ধারা সমস্ত রকম ন্যায় নীতি বিসর্জন দিয়ে যেখানে সেখানে যখন তখন নারী শিশু নির্বিশেষে যাকে খুশি হত্যা করে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, কারন তারা জানে সভ্য শক্তি এর উত্তরে মুসলমান মহল্লার উপর ঝাপিয়ে পড়বেনা। কেবলমাত্র জেহাদি দূস্কৃতিটিকে খুজে বার করে বিচার করার চেষ্ট্রা করবে এবং মুসলমান জনগন প্রাণপণে সেই দূষ্কৃতিকে আড়াল করবে।
মুসলমান জেহাদিরা নিশ্চিন্তে হিন্দু মন্দিরে, বাচ্ছাদের স্কুলে বিষ্পরণ ঘটায়, তারা জানে সভ্য হিন্দুরা এর জবাবে কখনো কোন মসজিদে বা মাদ্রাসায় বিষ্পরণ ঘটাবে না। অমরনাথের তীর্থযাত্রীদের হত্যা করে গর্ববোধ করতে জেহাদিদের বুক কাপানে, কারন তারা জানে সুসভ্য হিন্দুরা কখনোই এর প্রত্যত্তরে হজগামী বিমান ধ্বংস করবেনা। দৈবক্রমে কোথাও কোন  মুসলমানের ঘায়ে হাত পড়লে হিন্দু সমাজেই প্রতিবাধে ও নিন্দায় ফেটে পড়বে।

সুতরাং বুঝা যাচ্ছে সভ্য সমাজের সভ্যতাই হল ইসলামিক বর্বরতার প্রকৃত শক্তি ।

পরের পর্ব 
পরের পোষ্টের জন্য চোখ রাখুন এই সাইটে এবং পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন। শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন
Powered by Blogger.