সন্ত্রাসবাদীরা কি কোরানের অপব্যাখ্যা করছে ?

সন্ত্রাসবাদীরা কি কোরানের অপব্যাখ্যা করছে ? নাকি কোরান আসলেই সন্ত্রাসবাদী বই ?


ইসলামের স্বরূপ-০৭

কোরানের বিষয়বস্তুর মধ্যে যাওয়ার আগে মুসলমান সন্ত্রাসবাদীদের কয়েকটা বহুল প্রচলিত কায়দার উল্যেখ করা অপ্রাসঙ্গিক হবেনা। মুসলমানদের মধ্যে একটা বিরাট অংশ প্রত্যক্য স্বসশ্র সন্ত্রাসবাদে লিপ্ত সন্ত্রাসবাদে লিপ্ত, তারা বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসবাদী আঘাত হেনে আবার আবার সাধারন মুসলমান জনসাধারনে মিশে যায়।
তাহলে তথাকথিত সাধারন মুসলমানের ভুমিকাটি কি ?
কেন তারা নিজেদের মহল্লায় সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছেন ?
কেন তাদের চিহ্নিত করে দিচ্ছেন না?
কেন তাদের খাদ্য দিচ্ছেন,অর্থ দিচ্ছেন, লুকিয়ে রাখছেন ?

পুলিশ মুসলমান মহল্লায় তল্লাশি করতে গেলে সহযোগিতা তো করছেই না বরং- বাড়ির মেয়েদের শীলতাহানী করছে পুলিশ- এরকম মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশকে হেনস্থা করছে।
তাহলে জেহাদিদের সহযোগী এই তথাকথিত সাধারন মুসলমানদের কি বলা হবে ?
হাতে গোনা কয়েকজন সালাম, আজাদ বা আনোয়ার শেখ কে দেখিয়ে সারা বিশ্বের ১৩০ কোটি মুসলমানদের মহত্ব প্রমান করা যাবে কি ?

২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার আক্রমনের পর সারা বিশ্বের কোট কোটি আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা মুসলমানের যে উদ্দাম উল্ল্যাস টেলিভিশানে দেখা গেছে তার তার্তপর্য কি ? কারা জেহাদি ? কারা সাধারন মুসলমান ?

জেহাদ করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলে বাকি মুসলমানরা বলে- 'ওরা সন্ত্রাসবাদী, ওরা মন্দ, ওদের কাজের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই, ওরা ইসলাম বিরোধী কাজ করেছে।'
এখন সারা বিশ্বের কোট কোটি অমুসলমান যে কোরান পড়ে পড়ে ফেলেছে সেই খেয়াল-ই তাদের নেই। তাই মুসলমানরা এখনো অমুসলমানদের বিভ্রান্ত করে রাখতে চাইছে। মুসলমান সন্ত্রাসবাদীরা যখন জোর গলায় চিৎকার করে বলছে- হ্যা, আমরা যা করেছি ইসলামের নির্দেশ অনুসারেই করেছি, এটাই আমাদের কোরান নির্দেশিত পবিত্র জেহাদ, বেশ করেছি। তখনো মুসলমান ও হিন্দু দূর্বুদ্ধিজীবিরা হাল ছাড়েনা। তারা বলে- "ঐ সন্ত্রাসবাদীরা কোরানের অপব্যখ্যা করছে, ইসলাম শান্তির ধর্ম।'
এই কায়দাটা মুসলমানরা সম্পূর্ণ জেনে বুঝেই করছে, টিক যেমন কোন পকেটমার যখন ধরা পড়ে যায় তখন তার সঙ্গী পকেটমাররা তাকে পকেটমার-পকেটমার বলে মারতে মারতে আড়ালে নিয়ে গিয়ে সবাই মিলে একসাথে পালিয়ে যায়, -এও তেমনি।
মনে প্রশ্ন জাগে কোরান যদি এমনি একট বই হয় পৃথিবীর কয়েক কোটি মানুষ যা পড়ে ভূল বোঝে অমুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা করে গর্ববোধ করছে তাহলেও সেই বইটি একটু বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত নয় কি ?
আসলে মুসলমান সমাজের একটা বড় অংশ-ই সমস্ত মানবিকতা, লজ্জ্বা-সরম পরিত্যাগ করে নিজেদের সম্পূর্ণ নগ্ন করে ফেলে জেহাদের উদ্যাম আনন্দে নৃত্য করছে। আর অমুসলমানরা নিজেদের ভব্যতাবোধে-ই সেই নগ্নতা দেখার থেকে বাচার জন্য চোখ বন্ধ করে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন।
মুসলমানরা তো তাদের উদ্দেশ্য মোটেই গোপন করছে না, তাদের ধর্ম গ্রন্থ কোরানে এবং অজস্র ইসলামিক পত্রপত্রিকায় অমুসলমানদের সাথে কেমন ব্যবহার করতে হবে তা খোলাখোলি লেখা আছে।
সন্ত্রাসবাদীরা প্রকাশ্যে ঘোষণা করছে তাদের জেহাদ ইসলামের নির্দেশ অনুসারেই করা হচ্ছে। অমুসলমানরা দুই কানে হাত চাপা দিয়ে মন্ত্রের মত আওড়াচ্ছে - না না ওরা ভুল বলছে, ওরা কোরানের অপব্যখ্যা করছে, ইসলাম শান্তির ধর্ম।



পরের পোষ্টের জন্য চোখ রাখুন এই সাইটে এবং পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন।
লাইক করুন শেয়ার করুন সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।

আমাদের সাথে ফেইসবুকে যোগ দিন  
www.facebook.com/mukh.mukhos

পরের পর্ব
Powered by Blogger.