জিহাদ কি এবং কেন ??


 জিহাদ কি এবং কেন করা হয়??

(প্রথম পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন)

ইসলামের স্বরূপ-১১



যেহাদ কথাটাও কোরানে বার বার এসেছে, যেহাদ না বুঝলে ইসলামকে বুঝা যাবেনা। হিন্দু পণ্ডিতরা বোঝানোর চেষ্টা করেন জেহাদ হলো পাপের বিরুদ্ধে লড়াই, মন্ধের বিরুদ্ধে লড়াই, অধর্মের বিরুদ্ধে লড়াই। কেউ কেউ আবার আরো এক কাঠি এগিয়ে বলেন- মানুষের নিজের মনের মধ্যে যেসব কুপ্রভৃত্বি আছে তার বিরুদ্ধে সংগ্রামই হলো জেহাদ। কিন্তু জেহাদ মানে এসব কিছুই নয়। ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারের জন্য অমুসলমানদের বিরুদ্ধে সব রকমভাবে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে যুদ্ধ করাই হল জেহাদ। আরবী জেহাদ শব্দের আক্ষরীক মানে হলো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা। উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট, তাহলো সারা পৃথিবীতে যেন তেন ভাবে ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠা। সর্বাত্মক প্রচেষ্টা বলতে শুধুমাত্র সশস্র লড়াই বুঝায়না, ইসলামের পক্ষে অমুসলমানদের বিরুদ্ধে যেকোন রকম কাজই বুঝায়। হাদিস বুখারী শরিফের কিতাব-উল-জেহাদ অধ্যায়টি দেখুন। সশস্র জেহাদিদের অর্থ সাহায্য করা, খাদ্য ও আশ্রয় দেওয়া, প্রয়োজনে লুকিয়ে রাখা, জেহাদিদের পক্ষে ওকালতি করা, প্রবন্ধ লেখা, ইসলামের পক্ষে জনমত তৈরি করা, প্রবন্ধ লিখে তথ্য বিকৃত করে বা যেকোন উপায়ে অমুসলমানদের বিভ্রান্ত করা, বোকা বানানো, প্রবঞ্চিত করা, ভুলিয়ে ধরে এনে হত্যা করা, ছলে বলে কৌশলে অমুসলমান নারী অপহরন বা ধর্ষণ করা, অমুসলমানদের ভয় দেখানো, কিংবা তাদের অর্থ দিয়ে বশীভুত করে অমুসলমানদের দিয়েই অমুসলমানদের জব্দ করা, দমন করা, লুণ্ঠন করা বা আর্থিক ক্ষতি ঘটানো এ সবি জেহাদ।
প্রায় দেখা যায় মুসলমানরা যুবকরা হিন্দু মেয়েদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে বিয়ে করে বা বিয়ের আগেই শারিরীক সম্পর্ক করে বিয়েতে বাধ্য করে, এটাও জেহাদ। এতে যেমন একটি হিন্দু মেয়েকে মুসলমান করা গেলো আবার একটি হিন্দু পরিবারকেও কব্জা করা গেলো।
হিন্দু বুদ্ধিজীবীদের হাত করে তাদের দিয়ে ক্রমাগত হিন্দু বিরোধী প্রবন্ধ লিখিয়ে হিন্দু সমাজকে হিন্দু ধর্মের প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তোলাও জেহাদ।
আবার হিন্দুদের চোখের সামনে গো হত্যা করে তাদের মনে কষ্ট দেওয়াটাও জেহাদ। অমুসলমানদের অপহরন করে অর্থ আদায়, যা মুহাম্মদ বহুবার করেছেন, কিংবা অমুসলমানদের মাদকদ্রব্য বিক্রি  করে অর্থ লাভের সাথে আথে অমুসলমানদের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করাও জেহাদ। ন্যায় অন্যায় যেকোন ভাবে জেহাদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করাও বৈধ এবং তাও জেহাদ। মধ্যপান, সুদ গ্রহন, প্রভৃতি যেসব আচরন কোরানে সাধারনভাবে নিষিদ্ধ জেহাদের জন্য প্রয়োজন হলে সে সবি মুসলমানরা করে থাকে।
অনেক মুসলমানকে দেখা যায় তারা হিন্দুদের পত্রিকায় ইসলামকে একটা মহান সহনশীল ধর্ম হিসেবে দেখিয়ে, হিন্দুদের প্রতি সহানুভুতিশীল প্রবন্ধ লিখে, হিন্দু সমাজে মহান উদার সেকুলার মুসলমান হিসাবে নাম কিনেন। খোজ করলে দেখা যাবে এদের অনেকের-ই হিন্দু স্ত্রী আছে (যেমন-কাজী নজরুল ইসলাম)। অর্থাৎ এরা হিন্দু নারী বিয়ে করে জেহাদের একটি অবশ্য কর্ম সম্পূর্ণ করে এখন মিথ্যে প্রবদ্ধ লিখে হিন্দুদেরকে বোকা বানাতে এসেছেন। যাতে হিন্দুরা ইসলামের স্বরুপ কখনো বুঝতে না পারে। এরা আসলে আরো বড় জেহাদী। সে কারনেই মুসলমানরা এদের কিছু বলেনা। এরা যদি প্রকৃতই হিন্দু দরদী হতো মুসলমানরা তাদের অনেক আগেই হত্যা করতো, কারন ইসলামে মুনাফিক বলে একট কথা আছে। এর অর্থ যে ব্যক্তি মুসলমান হয়েও জেহাদ করেনা বা অমুসলমানদের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন অর্থাৎ এক কথায় ভন্ড। এই মুনাফিকদের জন্য কিন্তু কাফেরদের মতই কঠিন শাশ্তির বিধান আছে, সুরা-৩৩ আয়াত-৬১, সুরা-৬৬ আয়াত-০৯, সুরা-০৯ আয়াত-৭৩ এ।


ইসলামে মূর্তাদ বলে একটি কথা আছে এর অর্থ ধর্মত্যাগী, কোন মুসলমান ইসলাম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহন করলে তাকে মূর্তাদ বলে এবং যেকোন মুসলমানের অধিকার আছে মূর্তাদকে হত্যা করার। মুশরিক ও মূর্তাদকে হত্যা করাটাও জেহাদের অঙ্গ। তাহলে দেখা যাচ্ছে জেহাদের অর্থ অতি ব্যপক। জেহাদের প্রকৃত অর্থ হিন্দুদের বুঝতে না দেওয়ার জন্য মুসলমান এবং তাদের অনুগত হিন্দু বুদ্ধিজীবীরা প্রাণপণ চেষ্টা করে চলেছেন। কারন জেহাদের সাফল্যের উপর দাঁড়িয়ে ইসলামের ভ্যবিষ্যত, আর জেহাদের প্রকৃত মানে সময় মত বুঝতে না পারার উপর নির্ভর করছে হিন্দুদের অস্তিত্ব। কোরানে এবং হাদিসে জেহাদের মানে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। কোন মহানুভবতা, আদ্যাত্বিকতা এর মধ্যে নেই, ইসলামের স্বার্থে অমুসলমানদের যেকোন ভাবে হত্যা করা, লাঞ্ছিত করা, ভীত করা, লুণ্ঠন করাই জেহাদ। ইসলাম বিপন্ন হলে যুদ্ধ করাটা নিশ্চই জেহাদ, কিন্তু তাছড়াও সম্পূর্ণ বীণা প্রচোরনায় অমুসলমানদের আক্রমন করা, তাদের মন্দির বা দেবতাদের মূর্তি ধ্বংস করাও জেহাদের অবশ্য কর্তব্য। মোহাম্মদ নিজে বহুবার তা করেছেন। আরেকটা কথা বুঝতে হবে- জেহাদ ই কিন্তু ইসলামের প্রথম এবং সর্বচ্ছ অবশ্য কর্তব্য। কোন মুসলমান ব্যক্তিগত জীবনে মহান হলেও বা প্রচুর দান ধ্যন করে সৎ জীবন যাপন করলেও সে কিন্তু স্বর্গে যেতে পারবেনা যদিনা সে জেহাদে অংশগ্রহন করে। কোরান পড়লেই এর মানে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

সুরা-০৯ তওবা বা অনুসুচনা, আয়াত-১৯ ও ২০ঃ-
"যারা হাজীদের জল সরবরাহ করে এবং পবিত্র কাবার রক্ষনাবেক্ষন করে তোমরা কি তাদের সাথে ওদের সমজ্ঞান করো যারা আল্লাহ ও পরোকালে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহর পথে সংগ্রাম বা জেহাদ করে, আল্লাহর নিকট তারা সমতুল্য নয়, যারা ইসলামে বিশ্বাষ করে এবং ইসলামের জন্য গৃহত্যাগ করে সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম বা জেহাদ করে, আল্লাহর নিকট মর্যাদায় তারাই শ্রেষ্ঠ।'

সুরা-০৯ তওবা বা অনুসুচনা, আয়াত-৪১ঃ-
"অভিযানে বের হয়ে পড়ো অমুসলমানদের বিরুদ্ধে, লগু রণসম্ভারে হোক অথবা গুরু রণসম্ভারে হোক এবং তোমাদের সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম বা জেহাদ করো, এটিই তোমাদের জন্য শ্রেষ্ট যদি তোমরা জানতে।

সুরা-০৯ তওবা বা অনুসুচনা, আয়াত-৩৯ঃ-
"যদি তোমরা অভিযানে অর্থাৎ অমুসলমানদের বিরুদ্ধে বের না হও তবে তিনি (আল্লাহ) তোমাদের মর্মুন্তুদ শাস্তি দিবেন, এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিসিক্ত করবেন, এবং তোমরা তার কোন ক্ষতিই করতে পারবেনা, আল্লাহ সর্বশক্তিমান।

সুরা-০৯ তওবা বা অনুসুচনা, আয়াত-২৯-

"যাদের প্রতি কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে (ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা) কিন্তু যারা আল্লাহ ও পরোকালে বিশ্বাষ করেনা আল্লাহ ও তার রসুল যা নিষিদ্ধ করেছেন তাও নিষিদ্ধ করেনা এবং যারা সত্য ধর্ম বা ইসলাম অনুসরন করেনা তাদের সাথে যুদ্ধ বা জেহাদ করবে যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে আনুগত্যের নিদর্শন স্বরূপ নিজ হাতে জিজিয়া কর দেয়।
পরের পোষ্টের জন্য চোখ রাখুন এই সাইটে, শেয়ার করুন এবং আমাদের সাথে ফেইসবুকে যুক্ত থাকুন। 
Powered by Blogger.