ইসলামের স্বরূপ-০১
প্রায়
চৌদ্দ'শ (১৪০০)
বছর আগে ইসলামের জন্ম হয়েছে এবং
প্রায় আট'শ (৮০০) বছর বিদেশী মুসলমান শাষকরা ভারতের বিরাট অংশে
রাজত্ব করেছে এবং হিন্দুদের উপর সীমাহীন অত্যাচার চালিয়েছে। আর পাচটা দেশ যেমন
রাজ্য বিস্তারের জন্য পার্শবর্তী প্রতিবেশি রাজ্যকে আক্রমন করে তার থেকে ইসলামীক
আক্রমনের প্রকৃতিগত পার্থক্যটা ভারতবাসী বুঝতে পারেনি । বৌদ্ধ, জৈন
প্রভৃতি বিভিন্ন মতবাদ ভারতে উদ্বত হয়েছে এবং ক্রময়েই হিন্দু ধর্ম ও দর্শনের মধ্যে
গৃহীত হয়েছে। ভারতে উদ্ভুত নানা ধর্ম মতের সাথে ইসলামের যে কয়েকটি মৌলিক পার্থক্য
আছে তাও ভারতবাসী সেদিন বুঝতে পারেনি। তারা মনে করেছিলো সক খুন পৃভৃতি বহিরাগত
জাতির মত আরবীয় আক্রমকারীরাও বোধহয় ভারতীয় জনসমাজে মিশে যাবে। কিন্তু তা কেন হল না
তা নিয়ে বর্তমান ঐতিহাসিকেরাও ভাবেননি।
আজ থেকে
প্রায় হাজার বছর আগে সুলতান মাহমুদ ও মোহাম্মদ ঘোরি কয়েক হাজার মাত্র মুসলমান সেনা
নিয়ে ভারত আক্রমন ও জয় করে এবং কয়েক কোটি হিন্দুকে পদানত করে কিভাবে কয়েক শ বছর
রাজত্ব করতে পারলো তা নিয়ে কোন ঐতিহাসিকের মাথা ব্যথা দেখা যায়না।
ঐ
বিদেশী আক্রমনকারীরা যখন ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ধ্বংস করতে লাগলো এবং
ব্যপকভাবে হিন্দু নারীদের বলপূর্বক অপহরন করে হারেমে রেখে অকল্পনীয় অত্যাচার করতে
লাগলো তখনো ভারতের মানুষ বুঝতে পারেনি এই মুসলিম আক্রমকারীরা শুধুমাত্র রাজ্য
বিস্তারের জন্য ভারত আক্রমন করেনি, এর পিছনে গভীর ও ব্যপক ধর্মীয় উদ্দ্যেশ্য ছিলো।
আচ্ছা
ধর্মীয় উদ্দেশ্য সত্যিই ছিল কিনা তার প্রমান কি ??
তবে
শুনুন গজনী সুলতান মাহমুদের ঐতিহাসিক আল উদবী
তার 'তারিখ-ই-ইয়ামিনী' গ্রন্থে লিখেছেন--
"সুলতান মাহামুদ মুর্তিপূজকদের মন্দিরগুলো ভেঙ্গে
ইসলাম প্রতিষ্ঠা করলেন, শহরগুলো দখল করে নোংরা ঘ্ৃণ্য পৌত্তলিকদের (মূর্তি পূজারী)
ধ্বংস করে মুসলমানদের পরম সন্তুষ্ট করলেন। ইসলামের এই বিজয় সাধন করে তিনি দেশে
ফিরলেন, এবং প্রত্যক বছর ভারতে এসে জেহাদ করার সংকল্প করলেন।"
ডক্টর টিটাসের লেখা 'ইন্ডিয়ান ইসলাম' গ্রন্থের ১১ পৃষ্ঠা দেখুন, এটা ডক্টর আম্বেদকারও তার 'পাকিস্থান অর পার্টিশান অব ইন্ডিয়া' গ্রন্থের ৫৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ
করেছেন।
বলা
বাহল্য এখানে মূর্তি পূজক বা পৌত্তালিক বলতে হিন্দু ও বৌদ্ধদের কথা ই বলা হয়েছে।
আরো
শুনুন মহাম্মদ ঘোরীর ঐতিহাসিক হাসান নিজামী
তার 'তাজ-উল-মসির' গ্রন্থে লিখেছেন-
"মহাম্মদ ঘোরী তার তরবারীর দ্বারা হিন্দুস্থানের
নোংরা অবিশ্বাস এবং বহু দেব-দেবী উপাসনার কণ্টক ও মূর্তি পূজার কলুসতা দূর করেন,
এবং একটি মন্দির ও তিনি আস্ত রাখেননি।"
এটাও
ডক্টর টিটাসের উপরে উল্লেখিত বইটির ১১ পৃষ্ঠায় বলা আছে।
ডক্টর
আম্বেদকার এটাও তার পূর্বক্ত বইটিতে উল্ল্যেখ করেছেন।
তৈমুর লং তার জীবন স্মৃতিতে তো আরো সরাসরি
বলেছেন-
"আমার হিন্দুস্থান আক্রমনের লক্ষই হল ইসলামে
অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করা ঠিক যেরকমটি
ধর্মগুরু মোহাম্মদ আদেশ দিয়ে গেছেন।"
এটা
পাওয়া যাবে লেনপুল লিখিত 'মিডিয়াবাল ইন্ডিয়া' গ্রন্থের ১৫৫ পৃষ্ঠায়।
ডক্টর
আম্বেদকারও এটা উদ্ভৃত করেছেন।
এখন
প্রশ্ন হল কি সেই ইসলামীক ধর্মতত্? কি তার উদ্দেশ?
কেন
মুসলমানেরা মন্দির ও গ্রন্থাগার ধ্বংস করে, নারী ধর্ষণের পাশবিক প্রভ্ৃতি না হয়
বুঝা গেল কিন্তু সে নারীর মুখে গো মাংস দিয়ে তাকে কালেমা পড়িয়ে মুসলমান করার গরজ
কেন?
কেন
তাদের কাছে বোশ্যতা স্বীকার করে জিজিয়া কর দিয়েও জান মালের নিরাপত্বা পেলোনা
হিন্দুরা?
কেন
লক্ষ লক্ষ হিন্দুর মাথা দিয়ে স্তম্ভ তৈরি করে তারা মহতস্ববে লিপ্ত হয় ?
কি
অপরাধ হিন্দুদের ?
এর
উত্তর খুজতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে চোদ্দশ বছর আগের আরবে ইসলামের জন্মলগ্নে।
ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র না হিন্দু বিরোধী রাষ্ট্র ??
ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র না হিন্দু বিরোধী রাষ্ট্র ??
শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন