কোরান পড়ে আমরা এর আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পারিনা কেন?
ইসলামের
স্বরূপ-১০
ইসলামের
মহত্ব, সহনশীলতা,দান, ক্ষমা প্রভ্ৃতির যে রূপকথা গড়ে উঠেছে তা সবই মিথ্যা প্রচার,
এক কথায় ইসলাম গ্রহন অথাবা মৃত্যু। এটাই হলো ইসলামের মূল কথা।
এই
কথাটিই কোরানের অজস্র আয়াতে ঘুরিয়ে ফিরিয়া বলা হয়েছে।
কোরানের
মত একটি প্রকাশ্য বইতে লেখা আছে হিন্দুদের বা পৌত্তলিকদের যেখানে পাবে সেখানে বধ
করতে হবে। অথচ যে এই প্রতিবাদ করবে তাকেই সাম্প্রদায়ীক বলা হবে।
কোরানের
অনুবাদেও অজস্র আরবী শব্দ ব্যবহার করার ফলেই সাধারন হিন্দুরা কোরান পড়লেও এর আসল
মানে কিছুই বুঝতে পারেনা। এই আয়াতটিতে নিষিদ্ধ মাসের কথা বলা আছে। এর মানে হলো
ইসলামের আগের যুগ থেকে আরবে চারটি মাসকে চিহ্নিত করা হয়েছিলো যেই সময় যুদ্ধ বিগ্রহ
বা রক্তপাত নিষিদ্ধ থাকবে। সেই জন্য নিষিদ্ধ মাসগুলো পার হয়ে গেলে তারপর
পৌত্তলিকদের যেখানে সেখানে হত্যা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু একবার মোহাম্মদের কিছু
অনুগামী এই নিষিদ্ধ মাসেই বেশ কিছু পৌত্তলিক আরবকে সম্পূর্ণ বিনা দোষে হত্যা করে
বসে। তাই নিয়ে সারা আরবময় মোহাম্মদের নিন্দা তীব্র হয়ে উঠে। তখন মোহাম্মদের সন্মান
বাচাতে আল্লাহ একটি আয়াত পাঠিয়ে দিলেন।
"পবিত্র
মাসে অর্থাৎ নিষিদ্ধ মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে লোকে অর্থাৎ অমুসলমানরা তোমাকে
অর্থাৎ মুসলমানদের জিজ্ঞাসা করে বলো- সেই সময় যুদ্ধ করা ভীষন অন্যায় কিন্তু
আল্লাহর পথে বাধাদান করা, আল্লাহকে অস্বীকার করা, কাবা শরীফে উপাসনায় বাধা দেওয়া,
এবং সেখানকার অধিবাসীদের সেখান থেকে বহিস্কার করা আল্লাহর নিকট তদপেক্ষা অধিক
অন্যায় এবং বিদ্রহ, হত্যা অপেক্ষা ভীষনতর অন্যায়। (সুরা-২ বাকারা, আয়াত-২১৭,
কোরানশরীফ)
মোহাম্মদের
অনুগামীরা যাদেরকে হত্যা করেছিলো তারা এইসব কাজের কিছুই করেনি, নিজের মনে বানিজ্য
করতে যাচ্ছিলো, কিন্তু তারা ছিলো অমুসলমান পৌত্তলিক। অর্থাৎ পৌত্তলিক হওয়াটাকেই
বলা হচ্ছে আল্লাহর পথে বাধা দেওয়া। বিদ্রাহ কথাটি লক্ষ করুন, আরবী ফেতনা শব্দের
অনুবাদে এখানে বিদ্রহ কথাটা ব্যবহার করা হয়েছে, এটা কোরান অনুবাদের জোচ্ছুরির একটি
প্রক্ৃষ্ঠ উদহারন। কারন ফেতনা শব্দের আসল মানে আল্লার পথ না মানা, অর্থাৎ সোজা
বাংলায় ইসলাম না মানা। এই অর্থটি মেসকাত শরীফ হাদিসে, এবং বুখারী হাদিসে খুব
পরিষ্কার করে বলা আছে। এই আয়াতটির অর্থ দাড়ালো- ইসলাম কবুল না করাটা হত্যার থেকেও
অনেক খারাপ। অতএব মোহাম্মদের অনুগামীরা বীনা প্ররোচনায় পৌত্তলিক আরবদের নিষিদ্ধ
মাসেই হত্যা করে কোন অন্যায় করেনী। এর তার্তপর্য্য কিন্তু গভীর। অর্থাৎ যে চারটে
মাস পৌত্তলিকদের হত্যা করা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছিলো, সেই চার মাসের মধ্যেও
পৌত্তলিকদের হত্যা করলে কোন দোষ নেই।
এই
কারনেই মোহাম্মদের জীবনীর বা সিরাতুন্নবীর সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে কোরান না পড়লে এর
আসল মানে অমুসলমানদের কাছে পরিষ্কার হবে না।
অনেক
মেকী সেকুলার দূর্বুদ্ধীজীবীরা কোরানের একটা লাইনও না পড়েই বলবেন কোরানের এরকম
ব্যখ্যা ঠিক নয়। ঠিক ব্যখ্যাটা যে কি সেটা কিন্তু তারা কোনদিনও বলতে পারবেন না।
কারন এর অন্য কোন ব্যখ্যা হয়না। তাছাড়া আমরা কোরানের কোন ব্যখ্যা দেবার চেষ্টাই
করছি না, কেবল কোরন কে উদৃত করে তাতে কি লেখা আছে তাই বোঝার চেষ্টা করছি।
মুসলমানদের
প্রায় দেখা যায় রাস্তাঘাট অবোরোধ করে নামাজ পড়তে কিন্তু এর প্রক্ৃত তার্তপর্য
হিন্দুদের অজানা। যদিও তারা হাজার বছর ধরে মুসলমানদের রাস্তা অবরোধ করে নামাজ পড়ার
দৃশ্য দেখে আসছে। মুহাম্মদ নিজে সম্পূর্ণ নিরক্ষর ছিলেন, আরবের বেশিরভাগ লোক ই তখন
নিরক্ষর ছিলো। তিনি ভাবলেন পৃথিবীতে অনেক ধর্মগ্রন্থই তো লেখা হয়েছে, কিন্তু খুব
কম লোক ই সেসব পড়ে, তাচাড়া নিরক্ষর লোকেরা পড়বেই বা কিকরে, তাহলে কোরানের বানী
মানুষকে জানাবার উপায়টা কি হবে ? তখনি প্রবর্তন করলেন নামাজের। প্রত্যেক নামাজে
কোরানের খানিকটা পাঠ করা হয়, পরবর্তী নামাজে তারপর থেকে আরেকটু পাঠ করা হয়, এভাবে
ক্রমাগত নামাজের দ্বারাই সম্পূর্ন কোরানটি নিরক্ষর মুসলমানকেও জানিয়ে দেবার
ব্যবস্থা হল। তাছাড়া দিনে পাচ বার করে নামাজ পড়ার ফলে মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক
সম্পর্ক যেমন বাড়বে, ব্যায়ামও হবে আবার ধর্ম ছাড়া অন্য কিছু ভাবভারও সময় থাকবেনা।
নামাজের পর ইমাম একট ভাষন দেন, তাতে কোরান ও হাদিসের ব্যখ্যা দিয়ে মুসলমানদের
জেহাদের উদ্ভুদ্ধ করা হয়। এই ভাষন বা মগজ দোলাইকে বলে খুতবা।
পৃথিবীর
ভিবিন্ন দরকারি ঘটনা বা কখন দাঙ্গা করতে হবে সে সবই খুতবার সময় বলে দেওয়া হয়।
অবশ্য যেহাদে অংশ নেবার সময় নামাজ স্থগিত রাখা যাবে।
পরের পর্ব
পরের পোষ্টের জন্য চোখ রাখুন এই সাইটে এবং পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন। শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন

2 comments
অসাধারণ একটা ব্লগ লিখে চলেছেন আপনি l অনেক অজানা তথ্য সংগ্রহ করলাম l খুব রাগ আর দুঃখ হচ্ছে l আচ্ছা বলুন তো, আমরা এর কোনো প্রতিবাদ কেনো করি না কখনো? এদের পাপের ঘড়া কবে পূর্ন হবে?
হিন্দুরা এখন ঘুমিয়ে আছে। হিন্দুদের জাগতে হবে।
Post a Comment